Sunday, August 10, 2014

বিদায় হজে মহানবী (স) নারী-পুরুষ সম্পর্কে কী বলেছেন?


    উত্তর: মহানবী (স) এর বিদায় হজের ভাষণ মুসলমানদের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ভাষণের প্রত্যেকটি বাণীই ছিল গুরুত্বপূর্ণ, যা মুসলমান জাতি তথা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পাথেয় স্বরূপ। তিনি তাঁর এই ভাষণে নারী-পুরুষের অবস্থান ও অধিকার সম্পর্কে মানবতাধর্মী বক্তব্য প্রদান করেছেন। একমাত্র ইসলামই প্রথম নারীকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। তাই মহানবী (স) নারী-পুরুষ সম্পর্কে বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, “নারীর উপর পুরুষের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি পুরুষের উপর নারীরও সেরূপ অধিকার রয়েছে।”
    তিনি তাঁর এ বক্তব্যের মাধ্যমে সমাজে নারীদের অধিকার ও অবস্থান সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা দেন এবং সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে তিনি নারী পুরুষের অধিকার ও অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করেছেন।
    মহানবী (স) এর এ বক্তব্য তৎকালীন সামাজিক অবস্থার জন্য ছিল যুগোপযোগী এবং বর্তমান সমাজের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ দিক-নির্দেশনা। মহানবী (স) সমাজ থেকে ভেদাভেদ দূর করতে চেয়েছিলেন। আর তাই বিদায় হজের ভাষণে তিনি নারীর অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যায় নারীর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন।

(ছ)    মহানবী (স) কোন চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন?
    উত্তর: মহানবী (স) এর বিদায় হজের ভাষণ মুসলমানদের মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ভাষণের প্রত্যেকটি বাণীই ছিল গুরুত্বপূর্ণ, যা মুসলমান জাতি তথা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পাথেয় স্বরূপ।
    তাঁর এই ভাষণ আমাদের কাছে চিরদিনই স্মরণীয়। তিনি সমগ্র মানব জাতির কল্যাণের উদ্দেশ্যেই এ ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ভাষণে মহানবী (স) এর কণ্ঠনিঃসৃত প্রতিটি বাণীই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়। ঐতিহাসিক এ ভাষণে মহানবী (স) সমগ্র মানবজাতিকে নিুলিখিত চারটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন। এগুলো হল:

No comments:

Post a Comment