Saturday, August 9, 2014

আষাঢ় ভরা বর্ষা মাস। এসময় কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়।

“বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের ক্ষেত জলে ভরভর”।
উৎস: আলোচ্য অংশটুকু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর লেখা ‘আষাঢ়’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ: আলোচ্য উদ্ধৃতি দ্বারা কবি বর্ষাকালে আউশ ধানের ক্ষেত কীভাবে পানিতে ভরে যায় সে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্লেষণ: আষাঢ় ভরা বর্ষা মাস। এসময় কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি ঝরে। কানায়-কানায় চারিদিক পানিতে ভরে যায়। চারদিকে ঘনিয়ে আসে অন্ধকার। কালিমাখা মেঘ দিয়ে আকাশ ঢাকা থাকে। বাদলের অবিশ্রান্ত ধারা ঝরঝর করে সারাদিন ঝরে পড়ে। ফলে আউশের খেত পানিতে পূর্ণ হয়ে ওঠে।
মন্তব্য: বর্ষাকালে আকাশ জুড়ে কালো মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে পৃথিবীর মাটিতে। তাই আউশ ধানের খেতও পানিতে ভরে ওঠে।


ব্যাখ্যা-খ:    “কালিমাখা মেঘে ওপারে আঁধার ঘনিয়াছে দেখ চাহিরে।
                  ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।”
উত্তর: আলোচ্য অংশটুকু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ‘আষাঢ়’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ: আলোচ্য অংশটুকু দ্বারা কবি আষাঢ় মাসের ঘন বর্ষণে বাইরের আবহাওয়া বিপজ্জনক মনে করে সবাইকে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিশ্লেষণ: বর্ষাকালে সারাদিন অবিরাম বৃষ্টির ধারা ঝরে। আকাশ ছেয়ে যায় কাল মেঘে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। কালি-মাখা মেঘের এ রূপ দেখে মনে হয়, নদীর ওপারে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।  মনে হয়, বেলা যেন শেষ হতে চলেছে। এমন সময় ঘরের বাইরে বের হলে বিপদের আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। কবির তাই আজ অনুরোধ যেন কেউ ঘরের বাহিরে না যায়।
মন্তব্য: বর্ষাকালে আকাশে ভেসে বেড়ায় কালো মেঘের ভেলা। কালিমাখা এ মেঘ ভীত করে সকলকে। কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া আঁধারে কেউ ঘরের বাইরে বেরুতে চায় না।

No comments:

Post a Comment